রাধাকৃষ্ণ দর্শন শ্রীরামকৃষ্ণঅঙ্গে শ্ৰীমতীর মহাভাব প্রকটীত হলাে
রাধাকৃষ্ণ দর্শন শ্রীরামকৃষ্ণঅঙ্গে শ্ৰীমতীর মহাভাব প্রকটীত হলাে
রাধাকৃষ্ণ দর্শন |
প্রভুর মতীর দর্শনের ইচ্ছা হলাে;
শ্ৰীমতীর দর্শন ভিন্ন শ্রীকৃষ্ণের দর্শন সিদ্ধ হয় না।
অমনি চিত্তধারার সকল তােড় ছুটল শ্রীরাধার পানে, আর কোন চিন্তা নেই, এক চিন্তা ‘শ্রীরাধা’—রাধা মাের মূলাধার'।
দেখলেন, অখিল মাধুর্য ও সৌন্দর্যেশ্বরী শ্রীরাধা-কনকবরণী রাই।
ঠাকুর তাঁর সঙ্গে আর নিজেকে পৃথক কোরে রাখতে পারলেন না—
শ্ৰীমতী তার অঙ্গে প্রবিষ্ট হলেন অমনি মনের গতিক পরিবর্তিত হলাে—
শ্ৰীমতীর বিশুদ্ধ মন ছুটলাে কৃষ্ণমুখী।
হয়ে—শ্রীরামকৃষ্ণঅঙ্গে শ্ৰীমতীর মহাভাব প্রকটীত হলাে।
দেখে ব্রাহ্মণী ও বৈষ্ণবচরণ অবাক! এ যে সাক্ষাৎ শ্রীচৈতন্য !
—জীবে একি সম্ভব! উনিশটা প্রধান ভাব, যার এক একটীর প্রকটে সাধকের এক একটী যুগ অতিবাহিত হয়
— তাই সমভাবে এবং সম্পূর্ণতার সহিত তাতে প্রকাশ।
সঙ্গেসঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের দর্শন ও শরীরে প্রবেশ এবং সব কৃষ্ণময় দর্শন।
এ ভাবে প্রভু দু তিন মাস বেহুশ হয়ে রইলেন—কোথা দিয়ে দিন গেল রাত গেল ঠিক নেই।
রাধাকৃষ্ণ দর্শন |
ll দিব্য-ভাব।
নরেন্দ্রনাথের বয়স তখন বাইশ বছর,
(রবিবার ২৮৯৮৪ ), ঠাকুরের সামনে বসে, হঠাৎ তার বিশেষ নজর পড়লাে নরেন্দ্রের ওপর।
তিনি দাড়িয়ে উঠলেন এবং সমাধিস্থ হলেন—এক পা নরেন্দ্রের উরুতে।
গভীর সমাহিত অবস্থা, চক্ষু নিস্পন, মনে বাহ-জগৎ আর ভাসছে না।
ক্রমে চেতনার আপেক্ষিক জগতে নেমে এলেন
—তখনও চোখেমুখে দিব্য-জ্যোতির ছটা ঝিমিক্ কোরে উঠছে
—মহানন্দের মাদকতা তখনও সম্পূর্ণ শরীর ত্যাগ করে নি।
তিনি নিজেই নিজেকে সম্বােধন কোরে বলছেন,—
“হে সচ্চিদানন্দ !
হে সচ্চিদানন্দ
হে সচ্চিদানন্দ !
আজ তােমায় এই নামে ডাকবাে কি?
না, না, আজ যে মহাষ্টমী, আজ মায়ের দিন, মা যে প্রেমসুরা দিয়ে জীবকে মাতােয়ারা করেন।”
আবার নিজেকে সম্বােধন কোরে বলতে লাগলেন,
“ও মা সচ্চিদানন্দময়ি ! জগদানন্দরি !–সা রে গা মা পা ধা নি। নি-তে সুর রাখা ঠিক নয়, কারণ ওখানে বেশী থাকতে পারা যায় না, আমি আর একটু নেমে থাকব। স্কুল, সূক্ষ্ম, কারণ, মহাকারণ—বা সব চুপ! আর কথা বলা চলে না।”
রাধাকৃষ্ণ দর্শন শ্রীরামকৃষ্ণঅঙ্গে শ্ৰীমতীর মহাভাব প্রকটীত হলাে |
Post a Comment